প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৩:৪২ এএম
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। হারানো প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করেছেন হিরো আলম। যদিও তিনি বলছেন যে, তিনি ৯৯% নিশ্চিত যে প্রার্থিতা তিনি ফিরে পাবেন না।
হিরো আলম বলেন, ইসির দয়া হলে ১% সম্ভাবনা আছে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে এটা আসলে সবাই জানে। সেটা আমার একার না, স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা আছে তাদের সকলেরটা বাতিল করেছে। তবে একেক জনেরটা একেক কারণে বাতিল করেছে। কারও ১ শতাংশ ভোটের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর না থাকার কারণে বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা শহরে যে এলাকাগুলোতে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারদের খুঁজতে গিয়েছিল, সেখানে ভোটারদের আসলে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারণ ঢাকা শহরে একজন আরেকজনের বাসা খুব একটা চেনে না, বস্তি এলাকা। কর্মজীবী মানুষ বেশি। তারা টার্গেট করে গেছে বস্তি এলাকায়। এজন্য তারা অনেকে বলছে খুঁজে পায়নি। এছাড়া পুলিশ সহকারে গেছে, এজন্য অনেকে বাসায় থাকলেও বলছে বাসায় নেই।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনও আমার সঙ্গে লোক ছিল। তাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন) কাছে সেটা বলেছিলাম। কিন্তু তারা আপিল করার জন্য বলেছিল। এখন আপিল করলাম। বাদবাকিটা কতটা পাবো জানি না। অনেকেই মনে করে এখানে দাঁড়ানোর যোগ্যতা নেই। এখানে এলিট শ্রেণি বেশি। ঠিক আছে, আপনাদের কথাই মেনে নিলাম। কিন্তু একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখেন না, এক শ্রেণির লোক তো আমায় ভালবাসে, যেমন বস্তিবাসী আমাকে ভালোবাসে, তাদের মাঝে ছেড়ে দিয়ে দেখেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন না এলিট শ্রেণির লোকজন ভোট না দিল, বস্তিবাসীর ভোট নিয়ে লড়তে পারি কি না। হাইকোর্টে ফিরে না পেলে সুপ্রিম কোর্টেও যদি পথ থাকে, সেখানে যাব। তারপরও যদি না দেওয়া হয়, তাহলে মনে করবো যে ইচ্ছা করে আমাকে দেওয়া হলো না।
হিরো আলম বলেন, পরিবেশ দেখে চিন্তা করতে হবে। প্রতিটা লোকের দাঁড়ানোর অধিকার আছে। দাঁড়ানো তো কোনো বিষয় না। কিন্তু এই যে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি, হয়রানি করে ধরেন হাইকোর্ট থেকে ফিরে এলাম, কিন্তু ফলাফল জিরো আসলো, তাহলে এই নির্বাচন দেখে সিদ্ধান্ত নেব। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সবার সমর্থন পাওয়া যায়। আর দলীয় প্রার্থী হলে একজন, আরেক জনকে দোষারোপ করে। আমি তো হিরো আলম মানুষের ভালবাসা নিয়ে এতো দূর এসেছি। সেই হিসেবে ভালোবাসা নিয়েই থাকতে চাই। জনগণের পাশে থাকতে চাই, জনগণের ভালাবাসার মাঝেই থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন এলেই গরু চুরি, পরকীয়া এসব অভিযোগ তোলা হয়। আমার তো মামলা নেই, কারও মাথায় পিস্তল ঠেকাইনি, বিদেশে টাকা পাচার করিনি, কারও ক্ষতি করিনি, কোনো সাইডেই কিন্তু আটকাতে পারেনি। খালি ১ শতাংশ ভোটারের বিষয়টি দেখিয়েছে। এজন্যই আমাকে ষড়যন্ত্র করে ভয়ভীতি দেখিয়ে, হেয় করে মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।
হিরো আলম বলেন, এর আগেও দুইবার বাতিল হলে এখানে আবেদন করেছিলাম। একবারও পাইনি। দুইবার হাইকোর্ট থেকে পেয়েছিলাম। তাও আবার আশা রেখে এখানে জমা দিয়েছি। বাদবাকিটা এখন আপিলে যা করে, আপনারা তো বুঝতেই পারছেন। এখানে আসলে সুষ্ঠু বিচার খুব কমই পাই। আশা রাখছি। তবে এখানে না পেলে অবশ্যই হাইকোর্টে যাবো। এখানে নিয়ম রক্ষার জন্যই আসতে হবে। আমরা চাইলেও হাইকোর্টে যেতে পারবো না। আমাদের এখানে একটা এক ধাপ করতে হয়। এখানে না পেলেই হাইকোর্টে যেতে হয়।
জেকেএস/