প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়েছেন বিএনপির ৭ নেতা। এতে একদিকে তারা যেমন দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন; তেমনি অন্যদিকে কেউই ঘরে তুলতে পারেননি নির্বাচনের ফসল।
চলমান সিটি নির্বাচনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। দলীয় প্রার্থী না দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের প্রতিও কঠোর নির্দেশনা ছিল, কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ না নেয়।
কেসিসি নির্বাচনে ভোট হয় সোমবার (১২ জুন)। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়লেও জয়ী হতে পারেননি বিএনপির ওই ৭ নেতার কেউই। এতে একূল-ওকূল - দুকূলই হারিয়েছেন তারা!
বিএনপির এ সাত নেতা হলেন: ৫নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ আহসান তোতন, ৯নং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ফজলুল কবির টিটো, ১৯নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান কাকন, ২২নং ওয়ার্ডের মাহাবুব কায়সার, ২৪নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু, ৩০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান এবং সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডের মাজেদা বেগম।
যদিও ফল প্রকাশের পর এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে, রাত পৌনে ৯টার দিকে মেয়র পদের ফল ঘোষণা করা হয়। এতে ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাত পাখার মো. আবদুল আউয়াল ৬০ হাজার ৬৪, লাঙলের শফিকুল ইসলাম মধু ১৮ হাজার ৭৪, টেবিল ঘড়ির শফিকুর রহমান ১৭ হাজার ২১৮ এবং গোলাপ ফুলের সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ ভোট।
খুলনায় এবার সব কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নতুন পদ্ধতি হওয়ায় ভোট দিতে কিছুটা ভোগান্তির খবর পাওয়া গেলেও, মোটাদাগে ভালোভাবেই শেষ হয়েছে রূপসা পাড়ের শহরের নির্বাচন।
এ নির্বাচনে ৫ মেয়রপ্রার্থীসহ ১৮০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জেকেএস/