প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০৩:০৮ এএম
বরিশাল সিটির মতো খুলনাতেও জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রাপ্ত ফলে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী খুলনার নতুন মেয়র নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বড় ধরনের কোনো সংঘাত ছাড়াই অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকাল ৪টায় শেষ হয় নির্বাচন। পরে ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ৯টার দিকে ফল প্রকাশ হয়।
খুলনা সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তালুকদার আব্দুল খালেক (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক), মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা), মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি) এবং এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
এক নজরে খুলনা সিটির নির্বাচন
নির্বাচনে খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি খুলনা সিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন প্রতিনিধি। ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
নির্বাচনের নিরাপত্তায় ছিলেন বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনে চার হাজার ৮২০ জন পুলিশ সদস্য নিয়মিত ডিউটি করেন, তাদের সঙ্গে ছিলেন আনসারের আরও তিন হাজার ৪৬৮ জন সদস্য। এছাড়া র্যাবের সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচনি মাঠে ছিলেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
পৌরসভা থেকে ১৯৯০ সালে খুলনাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির শেখ তৈয়বুর রহমান, ২০০২ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, ২০১৩ সালে বিএনপির মো. মনিরুজ্জমান মনি এবং ২০১৮ সালে ফের তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন।
জেকেএস/