প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ০২:২৭ এএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে বলে ওই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু; কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু।
রোববার দুপুরে মহানগরের তেলীপাড়া এলাকায় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও সারা বিশ্ব বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন চাইলেও। আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃতপক্ষে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথেই।
সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে, দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এম মঞ্জুরুল করীম রনির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, কেন্দ্রীয় নেতা মো. ওমর ফারুক সাফিন, ডা. মাজহারুল আলম, সাঈদ সোহরাব, আবু আশফাক, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, মেয়র মো. মজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, মহানগর বিএনপি নেতা মীর হালিমুজ্জামান ননী, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শামীম, সুরুজ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ, গাছা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুল, কোনাবাড়ি থানা বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, কাশিমপুর থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আলী হোসেন, পূবাইল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন বকুল, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবদলের আহবায়ক এজিএস সাজেদুল ইসলাম, মহানগর কৃষকদলের সভাপতি আতাউর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রুহানুজ্জামান শুক্কুর, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী শিরিন চাকলাদার প্রমুখ।
এদিকে দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে অংশ নেন সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শোডাউন করেছেন সদর মেট্রো থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজমল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বিশাল মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকেসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩১ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। সম্মেলনে বহিষ্কৃত নেতাদের অধিকাংশকেই দলবল নিয়ে যোগদান করতে দেখা যায়।
জেকেএস/