প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০১:৪৮ এএম
মার্কিন ভিসানীতির কারণে অনেকটাই নরম হয়েছে বিএনপি। আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় অভিযুক্ত সংগঠনটি এবার সরকার পরিবর্তনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলছে।
সোমবার (২৯ মে) রমনার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপির ঘাড়ে দায় চাপানো হতে পারে। তাই সাবধানে ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে।’
তবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ১৫ বছর ধরে দেশের গণতন্ত্র হারিয়েছি, বিএনপি যখন আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দেয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) আসলে ভিন্ন মোড়কে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, তারা (আওয়ামী লীগ) হত্যা ও হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা লড়াই করছি, বিগত কয়েক বছর ধরে লড়াই করছি, আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।
ভিসানীতির কারণে আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লাফালাফি কমে এসেছে, সুর নিচে নেমেছে।’
সরকার দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটা খারাপ আগে কখনো হয়নি। চাপে পড়ে তারা এখন চুরি করা টাকা ফেরত নিয়ে আসছে।
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। তাকে খলনায়ক দেখানোর চেষ্টা চলছে। তারা বলতে থাকুক, লিখতে থাকুক। তবে এটা সত্যি যে যুদ্ধের কঠিন সময়ে জিয়াই ত্রাণকর্তার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের সামনে।
তরুণদের জিয়াউর রহমানকে জানার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ জিয়াই শুরু করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। আর তারা (আওয়ামী লীগ) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
জেকেএস/