• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে

ঈদের পর চূড়ান্ত ও কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৩:২১ এএম

ঈদের পর চূড়ান্ত ও কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনসভা, বিভাগীয় সভা, মিছিল, পদযাত্রা, অবস্থানসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। এবার সে আন্দোলনের সবশেষ রূপ দিতে নতুন কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছে তারা।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সম্প্রতি আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়লেও তা আরও বাড়াতে চান তারা। তাই জেলাভিত্তিক সমাবেশ শেষে ঢাকা অভিমুখে চূড়ান্ত ও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা অবরুদ্ধ করার পররিকল্পনা বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের। শরিকদের নিয়ে ইতোমধ্যে আন্দোলনের রূপরেখার একটি খসড়া প্রস্তুত করেছেন তারা। যেখানে ঢাকা ঘেরাওয়ের পাশাপাশি ঢাকা অবরোধ, ঢাকামুখী রোডমার্চ, অবস্থান ধর্মঘট, ৬৪ জেলায় সমাবেশ ও অসহযোগ আন্দোলনের মতো কর্মসূচি পাচ্ছে গুরুত্ব।

যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা বলছেন, ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছালেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। তবে এবার ঢাকামুখী আন্দোলনে সরকার পতনের পক্ষে মত তাদের।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ইতিমধ্যে যৌথ ঘোষণা নিয়ে একটা আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় একটা ড্রাফট তৈরি হয়েছে। তার ওপর অলোচনা চলছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুতই এ বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছে যাব এবং এটার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন একটা নতুন পর্বে যাবে বলে আমরা আশা করি। তবে কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সরকারের কাছে এমন চাপ সৃষ্টি করা যেন সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, রোজার ঈদের আগে আন্দোলন যদি উষ্ণ থেকে থাকে, তবে রোজার ঈদের পর উষ্ণতর হবে এবং কোরবানির ঈদের পর উষ্ণতম হবে। এটা অবস্থান ধর্মঘট হতে পারে, অবরোধ ধর্মঘট হতে পারে, অসহযোগ আন্দোলন হতে পারে,  জেলায় জেলায় কর্মসূচি বা ঢাকামুখী রোডমার্চ হতে পারে। কোরবানির ঈদের পর অবশ্যই ঢাকাকেন্দ্রিক কর্মসূচি করতে হবে। ঢাকা যখন অবরুদ্ধ থাকবে, ঢাকাকে নিয়ে যখন আন্দোলন হবে তখন বাংলাদেশের অন্য সব জেলা ওই সমর্থন এবং সাহস যোগাতে পারে তার জন্যই এই প্রস্তুতি ৬৪ জেলায় আন্দোলন।  

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমরা যে সমাবেশগুলো ডেকেছিলাম বিভাগীয় পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে তখন সরকার তিন থেকে চার দিন আগে হরতাল ডেকে দেয়। পুলিশ আওয়ামী লীগ সবাই মাঠে থাকে। সরকারের যাতে যন্ত্রণা হয় সেরকম কর্মসূচি দেবে বিএনপি। আমরাও সেভাবে আগের মতো ট্র্যাডিশনাল আন্দোলনে না গিয়ে কিছু নতুনত্ব দেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা যেটা চাচ্ছি আরও বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং বেশি মানুষ সম্পৃক্ত করে একসময় রাজধানীতে আমাদের অবস্থানকে স্থায়ী করা। আমরা চূড়ান্ত রূপের দিকেই এগোচ্ছি এবং চূড়ান্ত রূপ দেব আমরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সারা দেশ এই সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি প্রত্যয়ে তাদের আশাবাদী করে তুলতে চাচ্ছি যে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সেটার একটি মাত্র উপায় হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।  

 

জেকেএস/

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ