প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩, ০১:৪৯ এএম
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হয় সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা এমন একটা অবস্থানই প্রকাশ করছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে মাঠে সরব দলটি। তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভাবনা ভিন্ন। পাঁচ সিটির নেতাকর্মীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন, দ্বিধাবিভক্ত বিএনপির মধ্যে নেই শান্তি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে শুরু হচ্ছে সিটি নির্বাচন। প্রথমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট। এরপর ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন দোদুল্যমান অবস্থায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। সে অনুযায়ী অনেক প্রার্থী নিজের মতো করে মাঠও গোছাচ্ছেন। দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও তারা দল থেকে পদত্যাগ করে হলেও নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সিটির কাউন্সিলর পদে দলটির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা রয়েছেন বেকায়দায়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে না গেলেও তৃণমূলের চাপে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিগন্যাল দেয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।
তবে সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন দোদুল্যমান অবস্থায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। সে অনুযায়ী অনেক প্রার্থী নিজের মতো করে মাঠও গোছাচ্ছেন। দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও তারা দল থেকে পদত্যাগ করে হলেও নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সিটির কাউন্সিলর পদে দলটির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা রয়েছেন বেকায়দায়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে না গেলেও তৃণমূলের চাপে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিগন্যাল দেয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনে অংশ না নেয়া এবং পরবর্তী সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকে ‘ঘোমটা পরা বউ’-এর আচরণের মতো মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি এক জনসভায় সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘তলে তলে অনেকে যোগাযোগ করছেন। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। আপনাদের (বিএনপি) দলীয় সিদ্ধান্তই নেতাকর্মীরা মানছেন না। তারা নির্বাচন চান, প্রতিদ্বন্দ্বিতা চান। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না আসায় পরে তাদের নেতাকর্মীরা ঘোমটা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।’
এ অবস্থায় বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গত পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপির যে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজন এবারের নির্বাচন নিয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর মধ্যে সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডন ঘুরে এসেছেন। খুলনার নজরুল ইসলাম (মঞ্জু) জানিয়েছেন তাকে দলের নেতাকর্মীরা চাপ দিচ্ছেন। এ ছাড়া গাজীপুরে হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা শাহিনুল রনি সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে বরিশালে বিএনপির সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে আহসান হাবিব রূপমও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দল নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে আগ্রহী সাবেক এই ছাত্রদল নেতা। সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে।
এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে দলটি। নেতারা বলছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ অবস্থায় স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অনেকটাই বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে উল্টো দলের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাতে বিএনপি নির্বাচনে গেলে ইতিবাচক হতো। তবে আমাদের এখন যে অবস্থান, সেদিক থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ চলছে। কোনো স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। আর এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেও কোনো টানাপোড়েন নেই।’ জাতীয় নির্বাচন নিয়েই বিএনপির এখন সব ভাবনা ও কাজ চলছে বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে দলের নেতাকর্মীরা অনেক বেশি সংগঠিত অবস্থায় কাজ করছেন বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
জেকেএস/