• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন অন্তরা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন অন্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহর চেয়ে আবেদন করেছেন।

একইসঙ্গে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও তার আটকে থাকা তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্তরাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। পরে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুই দফায় কারণ দশানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তাতে সুনির্দিষ্ট কোনো কারন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোনো ধারা উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি প্রদান এবং তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর সেটি একাডেমিক শাখায় পাঠিয়েছি। এটি আইন প্রশাসকের মতামতের জন্য পাঠানো হবে। তার মতামত নিয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

অন্তরা বলেন, আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি আমি উক্ত র্যাগিংয়ের ঘটনায় কোনোভাবেই অংশ নেইনি। তাছাড়া আমাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কারণও নোটিশে উল্লেখ কর হয়নি। যদি আমি দোষীও হই, পরীক্ষা তো এ ঘটনার আগেই শেষ হয়েছে। তাহলে রেজাল্ট কেন আটকে থাকবে?

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ফল স্থগিতের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ভালো জানে। আমরা রেজাল্ট সাবমিট করার সময় কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে দিয়েছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (অন্তরা) সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে (অন্তরা) অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। কখন পরীক্ষা হয়েছে সেটা মূখ্য বিষয় নয়।

 

বিএস/

আর্কাইভ