• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, মানুষের ওপর নির্যাতন ততই বাড়ছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৫:৩১ এএম

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, মানুষের ওপর নির্যাতন ততই বাড়ছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে; দেশের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক, সংগঠকসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর নির্যাতন ততই বাড়ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশে একটা অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।

সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।

ইফতারে বিলুপ্ত সাবেক ২০ দলীয় জোটের শরিক ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। জাতীয় পার্টির নেতারা অংশ নেন। তবে ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের কাউকেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

ইফতারে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম অংশ নেন।

এছাড়া এলডিপির কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ফোরকান ইব্রাহিম, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, বাংলাদেশে এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এমএ রকীব, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, মাইনোরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মণ্ডল, সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একমত হয়েছি-এ সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই তাদের পদত্যাগ করতে হবে; সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অনেক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংবিধান, বিচারালয়, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন সেগুলো আবার পুনরায় কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সংস্কারের কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের জনগণ কখনোই কোনো একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। বরাবর বাংলাদেশের বীর জনগণ তাদের অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং সফল হয়েছে। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সেই সংগ্রামে দেশের সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং সব মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে শরিক হবেন। তাদের অধিকার আদায় করে নেবেন। তাই আসুন বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একত্র হয়ে আওয়াজ তুলি-আমরা এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসি। একটা মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ করি, সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।

আর্কাইভ