• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে সরকারের ব্যর্থতা দায়ী : ফখরুল

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ১০:২৯ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে সরকারের ব্যর্থতা দায়ী : ফখরুল

রোববার দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘গতকাল সীতাকুণ্ডে এবং আজ ঢাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন—এ বিস্ফোরণগুলো ঘটছে কেন? সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যারা এ বিষয়গুলোর দায়িত্বে রয়েছে, সবকিছু সঠিকভাবে আছে কি না, অর্থাৎ সেখানে যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মানুষের জীবননাশ না হয়, সে ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না...। সরকারি সংস্থাগুলো সে ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে।’
এ সময় বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পঞ্চগড়েও গতকাল চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন, দোকানপাটসহ বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এ ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলো কেন, সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা, এটি সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে করছে।’


তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যখন সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্য যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন এ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে, তখন এ ধরনের ডাইভারশন করানোর জন্য, জনমনকে বিভ্রান্ত করার জন্য, অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায় সরকার। এ ঘটনার জন্য আমরা সম্পূর্ণ দায়ী করছি সরকারকে। তাদেরই জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা দায়ী, তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টিকে ঘোরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটি এখন মানুষ বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফলকে সরকার কীভাবে বিতর্কিত করেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমরা এখানে এসেছি বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে। এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্য়ন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এর আগে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের লিয়াজোঁ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম, শাহজালাল মোল্লা প্রমুখ।

 

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ