প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০১:০৬ এএম
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিকভাবে আর জীবিত নেই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নিতে হবে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদী পদযাত্রার সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ দাবি করে মান্না বলেন, তাদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে আজকে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। গত ১৪ বছরে কোনো জিনিসের দাম সরকার কমাতে পারেনি। একমাস আগে থেকে তারা বলছে—রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে দাম বেড়েই চলেছে।
সরকার সিরিয়াল কিলারের মতো ধারাবাহিকভাবে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আগামীতে আরও দাম বাড়তে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ফলে জনগণের ওপর যে দুর্ভোগ নেমেছে, তা আরও বাড়বে।
‘অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন লড়াইটা শেষ হবে কবে’—উল্লেখ করে মান্না বলেন, এটা আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে না। তবে, লড়াই শেষ হবে। সেই লড়াইয়ে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। সেজন্য আমরা আন্দোলন সংগঠিত করছি। জনগণকেও রাস্তায় নামতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন—বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় ও দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সাজেদ/