• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ইমামকে উলঙ্গ করে মারধর ও ভিডিও ধারণ, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৪:০৪ এএম

মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় ইমামকে উলঙ্গ করে মারধর ও ভিডিও ধারণ, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার চান্দরা এলাকায় একটি মসজিদে জুমার বয়ানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করায় ইমামকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইমাম গাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে মামলার আসামি সাবেক গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান মুকুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে মামলার প্রধান আসামি মুকুলের ছোটভাই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি মফিজুর রহমান টুটুল পলাতক রয়েছেন। এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে লোক লজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ইমাম এতদিন মুখ খুলেননি। কিন্তু বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে আলেম সমাজসহ সর্বস্তরে আলোচনায় উঠে আসে। এ ঘটনায় আলেম সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে মাদক কারবারিরা ইমামের বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকাও আদায় করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী জানান, গত ২৬ জানুয়ারি জুমার আগের দিন দুপুরে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি মফিজুর রহমান টুটুলের নেতৃত্বে এলাকার মাদক কারবারিরা মসজিদের হুজরাখানায় (ইমাম সাহেবের কক্ষ) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে তার ওপর চড়াও হন। এ সময় তাকে মারধর ও উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করেন।

এরপর ইমামের বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন মাদক কারবারিরা। এলাকার মাদক ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কথা বলি দেখেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর ফের আমাকে ভয়ভীতি দেখালে এলাকার আলেম ওলামাদের বিষয়টি অবহিত করি এবং সবার পরামর্শে গত শুক্রবার গাছা থানায় মামলা করি।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘মসজিদের ইমাম দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

আর্কাইভ