প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০২:২৭ এএম
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমার জীবনের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ছিল মুক্তিযুদ্ধ। আমি আমার বাবার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম; কিন্তু আমার নামের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা হয়নি। যিনি শিক্ষক তার নামের আগে অধ্যাপক লেখা থাকে আর যিনি চিকিৎসক তার নামের আগে ডাক্তার লেখা থাকে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ভবন চত্বরে ব্যবস্থাপনা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই এ দেশের মানুষ এবং দেশটা আমাদের সবার। সবাই দেশের ভালো চাই। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে; কিন্তু দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা স্বীকার করতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। ১৯৭৪ সালে আমার স্ত্রী এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুবাদে এখানে প্রথম আসা হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পুরনো ভবনটি (প্রশাসনিক ভবন) দেখেছিলাম। আজকে সেই স্মৃতিই মনে পড়ছে। খুব ভালো লাগছে আমার, আবার ছাত্রদের মাঝে ফিরে আসতে পেরে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম পল্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সানাউল শিকদার টুকু এবং অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শেখ মো. আজহার ও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিদের ক্রেস্ট ও বিশেষ স্মরণিকা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকদেরও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও অ্যালামনাইসহ বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।