প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
‘জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।’
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় না এসে অন্য কোনো উপায়ে কেউ যদি সরকার গঠন করে তাতে দেশে কখনও উন্নয়ন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাপ্রধান করা হয় জিয়াউর রহমানকে। ওই প্রসঙ্গ তুলে বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা মানুষকে একটি উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫-এর পর তা হয়নি। বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয় তখন।
‘সংবিধান অমান্য করে মার্শাল ল জারি, সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি। ২১ বছর এভাবে সরকার পরিচালিত হয়েছে। যারা উন্নয়নের যে গতি তা ব্যাহত হয়েছিল।’
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এখন এত উন্নয়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০০৭/৮ সালের পর আমরা ক্ষমতায় আসি। আমরা রূপকল্প ২১ ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করি। বাংলাদেশ ২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
‘এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল বলেই। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সরকারে ছিল বলেই, এই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি এই ধারা না থাকতো, তাহলে দেশ কিন্তু এত উন্নত হতে পারত না। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগের বাংলাদেশ, স্যাটেলাইট যুগের বাংলাদেশ।’
‘পরমাণু শক্তির সঙ্গেও যুক্ত হতে পেরেছি। আমরা পরমাণু বোমা বানাবো না, কিন্তু পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরি করছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায়, উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। করোনা অতিমারি, যুদ্ধ, স্যাংশন।’
তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে ২০২৩ সালে আরও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যেন সেই হাওয়াটা না লাগে সেজন্য ইতোমধ্যেই আমরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে মনযোগী হয়েছি এবং সবাইকে আহ্বান করেছি, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না যায়।’
সাগর/সাজেদ