• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে: নুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০২:২৮ এএম

গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে: নুর

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের কারণে সরকার বিতর্কিত ইভিএমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তাই বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯১ এর মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি হবে না।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নূর বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মিলে পর্যায়ক্রমে ৩১ বছর ক্ষমতায় ছিল। যে স্বপ্ন ও আকাঙ্খা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই স্বপ্ন তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের কথা বলে দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সামনে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ তৈরি হবে।

dhakapost.com

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের বুকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আজ সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণঅধিকার পরিষদ সকল বিরোধী দলকে নিয়ে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে।


তিনি আরও বলেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চলে বর্ষা ও শুস্ক মৌসুমে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও তারা তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয়রা আমাকে বলে তোমাদের সরকার বর্ডার কিলিং ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে জোরালো তৎপরতা চালায় না। এ নিয়ে সরকার ব্যর্থ, রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব বলেন, দেশে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আগামীতে সরকার গঠন হবে। আমরা জনগণের আকাঙ্খা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক হানিফ খান সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্ণেল মিয়া মসিউর রহমান, ইসাহাক সিদ্দিকী, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজার রহমান, গণঅধিকার পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব মাসুদ মোন্নাফ, ইব্রাহিম খোকন প্রমুখ।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ