প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বিএনপি একটু সতর্কভাবে আন্দোলন করছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের যথেষ্ট শক্তি-সামর্থ্য আছে বিএনপির।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোজার আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করাতে চায় বিএনপি। চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে কর্মীদের চাঙা রাখতে চায় তারা। আর নিষ্ক্রিয় এবং কর্মসূচিতে গরহাজিরদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছেন দলটির নেতারা।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না বিএনপি।
গত বছরের আগস্ট থেকে এককভাবে রাজপথে সভা-সমাবেশ শুরু করে আসছে বিএনপি। ডিসেম্বরের শেষের দিকে দলটির সঙ্গে যোগ দেয় সরকারবিরোধী সমমনা ৫৪ দল। যুগপৎভাবে তারা এখন পর্যন্ত চারটি কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম কর্মসূচি হিসেবে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে দলগুলো।
পঞ্চম কর্মসূচির আগে ওয়ার্মআপ হিসেবে নয়াপল্টনের বাইরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের ৪টি স্পট থেকে পদযাত্রা করবে বিএনপি। অন্যদিকে কর্মসূচিতে অনুপস্থিত নেতাকর্মীদের তালিকাও তৈরি করছে তারা। দলটির নেতারা বলছেন, গণমিছিল, গণঅবস্থান, সমাবেশ, পদযাত্রার মাধ্যমে রোজার আগে আন্দোলনকে শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করাতে হবে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ঢাকা চলো কর্মসূচি, মার্চের শুরুতে ঢাকায় জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
এ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিএনপি একটু সতর্কভাবে আন্দোলন করছে, যেন আমাদের নেতাকর্মী ও জনগণকে অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা করা যায়। বিএনপির শক্তি সামর্থ্য এবং জনগণের সম্পৃক্ততা যথেষ্ট আছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি রাজপথে পুলিশের গোলাগুলি, আওয়ামী ক্যাডারদের উসকানির বিরুদ্ধে আমরা আত্মরক্ষার্থে হোক আর যেভাবেই হোক, সহিংসতার আশ্রয় নেই তাহলে জনমনে ভীতিকর সঞ্চার হবে। বিএনপি আসলে জনগণের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করে। এ দেশে একটি গৃহযুদ্ধ শুরু হোক এটা তো আমরা চাই না।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হুঁশিয়ারিতে ভয় পায় না আওয়ামী লীগ। মোকাবিলায় প্রস্তুত দল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগকে কেউ আন্দোলন করে হটাতে পারবে না। রাজনৈতিক ইতিহাস বলে, আওয়ামী লীগই আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হয়েছে; এদের বাইরে কেউ হতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা রক্তপাতে বিশ্বাস করি না, কিন্তু রক্তপাত কেউ ঘটাতে চাইলে, আবার সন্ত্রাসের পথে হাঁটতে চাইলে তার জবাব দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।
বিএনপির কর্মসূচির দিনে রাজপথে থাকার কৌশল কাজে দিয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।
সাজেদ/এএল