• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি বাতিল করতে হবে: ফখরুল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১১:০৩ পিএম

অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি বাতিল করতে হবে: ফখরুল

অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি বাতিল করতে হবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান ও মূল্যবোধবিরোধী কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না, আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংগতি বাতিল করতে হবে। ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং আপনারা (সরকার) ইস্যু তৈরি করছেন।
 

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ তাদের ’৭২-’৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে জিজ্ঞাসা করলেই গায়ে আগুন লেগে যায়। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, ভোটাধিকার চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজ যে সংসদ আছে সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা, দেশের মানুষকে বাঁচাতে চাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি অসম যুদ্ধে সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক, পিস্তল, গ্রেনেড, যা তারা ছুড়ে মারে আর আমাদের নামে মামলা দেয়।

জনগণের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন, কীসের ভোট? তোমাদের ভোটও আমরা দেবো। কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। স্পষ্ট কথা- বাংলাদেশের মানুষ না খেয়েও হাসে। তারা গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলতে চায়, মৌলিক অধিকার আদায়ে তাদের কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। সেই লক্ষ্যে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, শহীদুল ইসলাম, প্রফেসর সহিদুল হাসান, বোরহান উদ্দিন, কামরুজ্জামান প্রমুখ।

 

সাজেদ/

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ