প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ১১:২১ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসলে গরীব মানুষ কষ্টে আছে, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা আমাদের সরকার প্রধান নিজে স্বীকার করেছেন। বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের কোনও দোষ নেই।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের ১৬তম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল-ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কবে সম্মেলন হয়েছে ফখরুল সাহেবের কী মনে আছে? আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। বিএনপির নেতাদের টপ টু বটম অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। সেটা সময়ের ব্যাপার কী-না আমরা দেখতে চাই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নিজের ঘরে চর্চা করে না। আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পরপর সম্মেলন হয়, প্রত্যেক মাসে আমাদের সম্পাদকমন্ডলির মিটিং হয়। প্রত্যেক ৬ মাসে আমাদের জেলাগুলোকে নিয়ে বর্ধিত সভা হয়। এক বছরে আমাদের জাতীয় কমিটির সভা হয়।
এসময় তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি পিটার হাসকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনুরোধ করব, আপনারা ডেমোক্রেসির কথার বলতে এলে যারা ডেমোক্রেসিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই বিএনপিকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের ঘরে ডেমোক্রেসি নেই কেন? সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন। কেন তারা সম্মেলন করেন না। কয় বছর আগে সম্মেলন করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আট লেন করি, ছয় লেন করি, যতই উড়াল সড়ক, যতই আমরা কাজ করি, শৃঙ্খলা না এলে সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। যদি শৃঙ্খলার এতো ক্ষারতি থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে যে উন্নয়ন, যে অর্জন বিশ্বের বিস্ময়কর। বাংলাদেশ শুধু সড়ক সেতুতে কী বিস্ময়কর উন্নয়ন করেছে। উন্নয়ন সব জায়গায় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, বিদ্যুৎ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন। এরপরও আমরা যখন রাস্তায় বের হই সেখানে শৃঙ্খলার অভাব। সড়কে শৃঙ্খলার অভাব, এইগুলো আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এতো উন্নত জাতি, যেটা সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তারপরও কেন সচেতন হবো না। শৃঙ্খলার ব্যাপারে আমরা সজাগ হবো।