প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৩:৩৮ এএম
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সকল নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের বছরের শুরুতেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রমাণ করেছে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সরকার নির্বাচন ছাড়াই পুনরায় ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। অচিরেই জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিদায় নেবে, আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি এবং গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টায় খুলনা কেসিসি মার্কেট মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মিছিল শেষে সমাবেশ করা হয়। কেন্দ্রঘোষিত এই কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা উল্লেখ করে মনা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে প্রিপেইড মিটারে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ১১০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হতো। এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। প্রিপেইড মিটার ও কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ না করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহ্বায়ক স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।