প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০৪:০৩ পিএম
কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন ছোট ছোট মিছিল নিয়ে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসন নেবেন। এরপর আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। পরে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করবেন দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সবশেষ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। এ লক্ষ্যে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে। সমাবেশের মঞ্চ তৈরা করা হয়েছে নৌকার আদলে। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমৃদ্ধির প্রতীক পদ্মা সেতু, উন্নত বাংলাদেশ ও জাতীয় চার নেতার ছবি। এ মঞ্চে আসন নেবে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটি। সামনে থাকবেন সারা দেশ থেকে আসা প্রায় এক লাখ নেতাকর্মী।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন দলের শীর্ষনেতারা। এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন সাত হাজার কাউন্সিলরসহ প্রায় এক লাখ নেতাকর্মী। অতিথি হিসেবে থাকবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত।
সম্মেলন ঘিরে প্রত্যাশার নানা কথা জানান দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। জাতীয় সম্মেলন আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নেতৃত্ব নির্বচনে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সভানেত্রীর দূরদর্শীতার প্রতি অবিচল আস্থা রয়েছে জানিয়ে নেতা কর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী পরিদর্শন এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন শেষ করার আহ্বান জানান। এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের সস্মেলনের দিন ঢাকার কর্মসূচি পেছালেও সারা দেশে কর্মসূচি রেখেছে। তারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করতে পারে জানিয়ে সারা দেশে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সবার প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটার পাশাপাশি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবে দলটি।
এনএমএম/এএল