প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২, ০৭:০১ পিএম
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের মূল মঞ্চে প্রথম শ্রেণির ২টি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। যার একটিতে খালেদা জিয়া ও অপরটিতে তারেক রহমানের নেমপ্লেট রাখা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চে একে একে কেন্দ্রীয় নেতারা আসা শুরু করেন। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল হাসান শ্রাবণসহ আরও অনেকে মঞ্চে অবস্থান করছেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এ ছাড়া ভোর থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ।
দেখা যায়, নানা রঙের টি-শার্ট-ক্যাপ পরে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসছেন নেতা-কর্মীরা। গোলাপবাগ মাঠে একপ্রান্তে মঞ্চ তৈরির কাজও শেষ। নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক নেতাকে মঞ্চে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের এখনো সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন : দুপুরে সাভারে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, প্রধান অতিথি কাদের
এদিকে, শুক্রবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাতেই প্রায় ভরে যায় গোলাপবাগ মাঠ। শনিবার ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। ইতোমধ্যে বিএনপি কর্মীদের উপস্থিতি মাঠ ছাড়িয়ে নেমেছে সড়কে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
তবে সমাবেশে আসার পথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। কর্মীরা বলছেন, অকারণেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হচ্ছে। অনেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। কেউ আবার পায়ে হেঁটে সমাবেশে এসেছেন।
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা যে কোনো মাঠে করার কথা বলা হয়। বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে থাকে। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হন।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাসহ অন্তত তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর থেকে নয়াপল্টন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এআরআই/এএল