প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:৩৮ এএম
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। ওই দিন রাজধানী ঢাকায় কী হচ্ছে, এ নিয়ে নানা মহলে চলছে নানা ধরণের আলোচনা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এই সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে পাল্টা কর্মসূচিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
যদিও বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁরা বিভাগীয় পর্যায়ে যে গণসমাবেশ করেছে, ১০ ডিসেম্বর তারই ধারাবাহিকতার অংশ। শুধু বড় জনসমাবেশ করাই তাঁদের লক্ষ্য। ঢাকা দখল বা অবরুদ্ধ করে সরকার পতনের ডাক দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেছেন রাজপথে অগ্নিসন্ত্রাস হলে বিএনপি নেতাদের গণধোলাই দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের মোকাবিলা করতে যেকোনো দিন, যেকোনো সময় যুবলীগ প্রস্তুত আছে। চ্যালেঞ্জ দিলাম এবং আপনাদের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম। ১০ ডিসেম্বরও আমরা রাজপথে আপনাদের অপেক্ষায় থাকব। দেখি শেখ হাসিনাকে কে উৎখাত করে?’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জামায়াত-শিবিরের অংশগ্রহণ ছাড়া বিএনপি ৫০০ লোকও জড়ো করতে পারে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি যে আন্দোলন সমাবেশ করছে সেটা ‘বেজলেস’ ইস্যু। জনগণের মধ্যে কোনো আবেদন তৈরি করতে না পেরে ভিত্তিহীন সব ইস্যু নিয়ে তারা কর্মসূচি সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে। বিএনপি জনস্বার্থে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ না করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে পাঁয়তারা হিসেবে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে। তাদের ইস্যুভিত্তিক কোনো রাজনীতি নাই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই দেশ ও দেশের মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাজেদ/