প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০২:২৪ এএম
কাঙ্খিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করা সেই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আরমিন তার মন মত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি এটি তিনি ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়লে সেটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর বাইপাস মোড় এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তিনি।
তাকে গুরুতর অবস্থায় বাজিতপুরের ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত আরমিন মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহসভাপতি ও পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আহত আরমিন মিয়ার সহপাঠী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন পাপ্পু বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর তারা দুইজন মিলে একটি মোটরসাইকেলে করে ব্যবসায়িক কাজে উপজেলার থানাঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন। কাজ শেষে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মির্জাপুর বাইপাস সড়কের মাঝখানে পৌঁছলে সম্মুখ দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের পথরোধ করে। ৮ থেকে ১০ জনের একদল যুবক মাইক্রোবাস থেকে নেমে এসে তাদের ঘিরে ধরে আরমিনকে মারপিট শুরু করে। এ সময় তার সহপাঠী বিল্লাল হোসেন পাপ্পু বাধা দিতে গেলে তিন-চারজন যুবক তাকে ধরে আটকে রাখে। একপর্যায়ে সশস্ত্র যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরমিনকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে তার সঙ্গে থাকা সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
তিনি আরও জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরমিনের মাথা ও পিঠে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএ/