• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নেট দুনিয়ায় ‍‍খেলা হবে এখন ভাইরাল, কারা খেলবেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০১:১৫ এএম

নেট দুনিয়ায় ‍‍খেলা হবে এখন ভাইরাল, কারা খেলবেন

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা


খেলা হবে , কী খেলা হবে? রাজনীতির মাঠে  এই বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং সমালোচিত। এই খেলা হবে নিয়ে কতজনই কত কথা বলছেন।  আবার জাতীয় সংসদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু কী খেলা হবে? কারা কারা খেলবেন? কত জন খেলোয়ার? কোন কোন মাঠে খেলা হবে? কখন শুরু হবে? কীভাবে খেলা হবে? এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। নেট দুনিয়ায় খেলা হবে প্রসঙ্গটি ভাইরাল এখন।  

রাজনীতিতে খেলার শেষ নেই। বহুকাল থেকে চলে আসছে এই খেলা। দেশেও যেমন খেলা হয় বিদেশেও খেলা চলে।

রাজনীতিতে খেলার শেষ নেই। এই খেলা বহুকাল থেকে চলে আসছে। দেশেও যেমন খেলা হয় বিদেশেও খেলা চলে। এ দেশ নিয়ে, এ মাটি নিয়ে খেলা যেন কোন কালেই থেমে থাকে না। কোন কোন খেলোয়ার বিদেশে বসে খেলেন। সঙ্গে আবার বিদেশি খেলোয়ার ভাড়া করেন। বরাবরই ভাড়া করা খেলোয়ার দিয়ে রাজনীতির মাঠে এক ধরণের খেলা হয়। খেলা নিয়ে কবে কখন কে কি বলেছিলেন।


ঘটনা গত ২৩ অক্টোবরের। এদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিএনপি শুনতে পাবে জনতার সাগরের গর্জন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, লাখ লাখ লোক আপনাদের সঙ্গে নেই। আমাদের সঙ্গে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন ভুলে যান। লাখ লাখ লোক নিয়েই খেলা হবে। 


তারপর ১৬ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পালা। জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, ‘কে কোথায় কী বলল না বলল, তাতে কান দেওয়ার দরকার নেই।

একইসুরে আবার তিনদিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন ছুঁড়লেন। তিনি বললেন  ‘ওবায়দুল কাদের খেলতে চান, খেলা আগে শেখেন। আনাড়ি টিমের সঙ্গে বিএনপি খেলে না।


এই খেলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভাইরাল হন বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। গত ৩০ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘খেলা হবে। আসেন খেলি। কর্মীদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলেন, আপনারা খেলার জন্য প্রস্তুত তো? এ সময় সবাই ‘হ্যাঁ হ্যাঁ করে সমস্বরে উত্তর দেন। 


রুমিন ফারহানা সেদিন আরও বলেন, ২০১৪ সালে প্রতিপক্ষকে নিয়ে খেলার সাহস দেখাতে পারেননি। ২০১৮-তে লুকিয়ে লুকিয়ে অন্ধকারে খেলেছেন। লুকিয়ে কিংবা অন্ধকারে একা একা নয়, আসুন প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রকাশ্যে খেলুন। আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে খেলি। মামলা করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।


কিন্তু খেলা বন্ধের আহবান জানালেন বিএনপিরই আরেক এমপি। ২ নভেম্বর সংসদ অধিবেশনের অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সরকারের ‘খেলা বন্ধের’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‍‍`মানুষ জনদুর্ভোগে পড়বে, আমরা এমন খেলা দেখতে চাচ্ছি না।‍‍`

কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খেলা চালু রাখার ঘোষণা দেন । আজও তিনি সেই খেলার ঘোষনা দিয়েছেন। বলেছেন খেলা হবে বিএনপির সঙ্গে। ১০ ডিসেম্বর কিছুই হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‍‍`ওই দিন আমরাও মাঠে থাকব। তাদের (বিএনপি) কোনো বাধা দেব না। কিন্তু তারা যদি আগুন নিয়ে খেলতে চান, লাঠি নিয়ে খেলতে চান, তাহলে আমরা তা হতে দেব না। বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে। খেলা হবে নির্বাচনে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে।‍‍`

এবি/এআরআই
 

আর্কাইভ