• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচনে পার পাবে না: জিএম কাদের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৪:৩০ এএম

সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচনে পার পাবে না: জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছা নেই, তারা জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার পার পাবে না। তাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠঅনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হোক সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন কমিশন ভোটের বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়, কিন্তু সেগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। আসলে সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছা নেই। সরকার জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার পার পাবে না। তাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার।

জিএম কাদের বলেন, দেশে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। সরকার সমর্থকরা জোর করে ভোট কেন্দ্র দখল করছে, বিরোধী পক্ষ নির্বাচনী এজেন্টদেরকে বের করে দিচ্ছে। জনগণকে সরাসরি নির্বাচনে ভোট দিতে দিচ্ছে না। এটা হলো বর্তমান বাস্তবতা।

তিনি বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জন করলো তখন শুধু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমন বাস্তবতায় সরকার সমর্থকরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিততে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের হুমকি ও হয়রানি শুরু করছে। এভাবেই সরকার সমর্থকরা জোর করে নির্বাচনে জিতছে।

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, তৃণমূলের রাজনীতি গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। শাসক শ্রেণি ও তাদের দল রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এটাকেই বলা হয় একনায়কতন্ত্র। স্বৈরশাসন হলে জনগণের কথা মতো দেশ চলে না। এখন দেশের মানুষ স্বৈরশাসনে নিষ্পেষিত।

তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি কুক্ষিগত করা হয়েছে। আমরা এই পরিস্থতি থেকে উদ্ধার চাই। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, তাহলে জনগণের অধিকার থাকে না। জনগণের কাছে কারো জবাবদিহিতা থাকে না। এ কারণেই দুর্নীতিতে ছেয়ে যায় দেশ। আর দুর্নীতি বেড়ে গেলে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, খারাপ দিন আসছে, তাই সবাই খাদ্য উৎপাদন করুন। এ কথাতো সবাই জানে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন পরামর্শ দরকার হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তেল কিনতে পারছে না সরকার? রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে রাজনীতির খড়া চলছে। আমরা রাজনীতির খড়া কাটাতে চাই। আমরা চাই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সাধারণ মানুষ যেন দেশের মালিকানা ফিরে পায়। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। ভালো কাজ না করলে, যাতে দেশের মালিকরা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে পারে। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর শিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

জেডআই/

আর্কাইভ