• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নয়াপল্টনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কফিনে বিএনপির শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম

নয়াপল্টনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কফিনে বিএনপির শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। নামাজে জানাজা শেষে বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন, আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার সেই আন্দোলন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত সুবক্তা। আর তিনি মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এবং আগে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, বাংলাদেশে আজকে গণতন্ত্র নাই। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সামনে আসছে। আজকে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো একজন সংগ্রামী নেতা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিলো।

জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবুদস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ২০ দলীয় জোটের ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম নামাজে জানাজা বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ জোহর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়াম এবং তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে (সেন্ট্রাল মসজিদ) অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে সহধর্মিণীর কবরের পাশে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছাত্র জীবন থেকেই রাজনিতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন।

এরপর তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। কিন্তু তাকে ১৯৯২ সালে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি দলটির ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জেডআই/

আর্কাইভ