• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ১০:২৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত, ফ্রাস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা, হতাশার অভিজ্ঞতা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিবার আশা করেছি এবার প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু আসবেন। তবে প্রতিবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে তিনি দিয়ে এসেছেন, নিয়ে আসেননি। সুতরাং ওই একটাই কমেন্ট। আগে আসুক উনি (প্রধানমন্ত্রী)। কি নিয়ে আসছেন আমরা দেখি। তারপর কমেন্ট করব।

ফখরুল বলেন, ’৭৫ সালে যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছিল তার পূর্বে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, সেটি ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। যারা (আওয়ামী লীগ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাস করত না তারা বললেন, আমরা সমাজতন্ত্র অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করব। তারপর যেটি হলো, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কোনো কাঠামোই তৈরি হলো না। যেটি তৈরি হলো, সেটা হলো লুটপাটের অর্থনীতি। ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল সম্পূর্ণ লুটপাটের অর্থনীতি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনও একই অবস্থা চলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে। রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সেতু নির্মাণ হচ্ছে; যে সেতুটি এক বছরে নির্মাণ করা সম্ভব সেটি করছে ১০ বছরে, ১৫ বছরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা সেটি আজ ১০ বছর ধরে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাইফুর রহমান পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের উপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে আর কোনটা করলে লাভ হবে না, আর কোনটা করলে ঋণগ্রস্ত হবো আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হব সেটি তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সেই কারণে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে করতেন তিনি সেটিই করতেন আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার ছিল তিনি তাই করতেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আজকে অত্যন্ত কঠিন একটি সময় অতিক্রম করছি এ সময় যদি সাইফুর রহমান সাহেব আমাদের সঙ্গে থাকতেন আমাদের রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন এবং এই সরকার যে একটি ভ্রান্ত উন্নয়ন বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে সেটির আসল চেহারা উদঘাটন করতে তিনি সক্ষম হতেন। এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটিকেও উন্মোচন করতে তিনি সক্ষম হতেন।

রিজার্ভ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে কাজটা দশ হাজার টাকায় হবে সেটি তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করছে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা তারা (সরকার) নিজেরা ভাগ করে চুরি করে খাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম ও কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জেডআই/

আর্কাইভ