• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বিএনপি একটি অসভ্য ও বর্বর দল : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ১১:২৯ পিএম

বিএনপি একটি অসভ্য ও বর্বর দল : কৃষিমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি একটি অসভ্য ও বর্বর দল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য ১৫০ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। বিএনপি শত শত কোটি টাকা এ দেশ থেকে লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি এখনেও ক্ষমতায় আসার জন্য ২০১৩ সালের পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে। দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে চাইলে আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীরা তা প্রতিহত করব।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে আয়োজিত সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব বলেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। আপনারা অবৈধভাবে ক্ষমতার আসার চেষ্টা না করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আসার চেষ্টা করুন। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন করি। আমরা জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর এক ডাকে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আজ সোনারগাঁয়ের সম্মেলনের এসে যখন দেখি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা বলে স্লোগান দিচ্ছেন তা দেখে আমার মনটা আনন্দে ভরে যায়। এ সব তৃণমূলের নেতাকর্মীই আওয়ামী লীগের খুঁটি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম যখন দেশের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আমরা তখন বলেছিলাম এই দেশকে বিদ্যুৎ খাতে সফলতা এনে দেব, এ দেশের জনগণকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব, বেকারত্ব দূর করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা করে দেখিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে সার নিয়ে কৃষকরা আন্দোলন করেছিল। বিএনপি তখন তাদের সার দিতে না পেরে তাদের বুকে গুলি চালিয়েছিল। এই বুলেটের জবাব আপনারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের আমলে সারের কোনো অভাব হয়নি, ডিলারের পেছনে দৌঁড়ানো লাগেনি। এগুলো সবই শেখ হাসিনার অবদানে হয়েছে। আমরা গতবছর সারে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তকি দেই। এ বছর আরেও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কথা চিন্তা করে এ সব করছেন। আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। আরেও উন্নয়ন কাজ চলমান। এই উন্নয়ন কাজ আরো গতিশীল রাখতে হলে আপনারা আমাদের আবারও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকাবিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান দিপুসহ প্রমুখ।

 

এআরআই/এএল

আর্কাইভ