• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে’

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২, ০৯:২৮ পিএম

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনের নামে গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। রোববার (৭ আগস্ট) ধানমন্ডিতে একটি নিউজ পোর্টালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক সরকারের শাসনামলে নতুনভাবে সংবাদ মাধ্যমের আত্মপ্রকাশ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। সংবাদ ও মতামতের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। সংবাদকে সংবাদ হিসেবে লিখতে হবে। সেখানে মতামত দিলে সংবাদ হয় না। কিন্তু আজকাল সংবাদে মতামত পরিলক্ষিত হয়।

সুতরাং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। জনগণ বা পাঠক সত্য জানতে চায়। তারা তখনই সংবাদপত্র কিনেন বা ভিজিট করেন যখন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা হয়। কোনো ভুল তথ্য যাতে পরিবেশন করা না হয় সেদিকে সাবধান থাকতে হবে। সত্য প্রচারে ও প্রকাশে সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনের নামে গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে। যে কারণে সরকারের মিথ্যাচার, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা বা লেখা হয় না।

তথ্যমন্ত্রী তথ্য বিকৃতি করছেন উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, জ্বালানির দাম বাড়িয়েও পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে দাম এখনো কম। এভাবে তিনি ও সরকার প্রতিনিয়ত মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা ভুল তথ্য দিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। এখানে সত্য প্রচারে চ্যালেঞ্জ রয়ে যায়।

বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের দামের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেল কেরোসিনের দাম অনেক বেশি। ভারতেও আমাদের চেয়ে দাম কম। পাকিস্তান, শ্রীলংকার মতো আন্দোলন বিধ্বস্ত দেশেও জ্বালানির দাম কম।

অনুষ্ঠানে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘গণমাধ্যম হলো মানুষের আস্থার জায়গা। সেই আস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে। মানুষ বা পাঠক যা জানতে চায় চা জানাতে পারলে টিকে থাকা ও জনপ্রিয় হওয়া যাবে। পত্রিকার সঙ্গে মানুষ তখনই থাকবে যখন মানুষের চাহিদা পূরণ হবে। সেই চিন্তা করে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে খুব সহজেই আমরা এক প্রান্তের খবর পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সেটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়ে কথা থেকেই যায়। সেই জায়গায় নতুন মিডিয়া বাংলাদেশ টাইমলাইন ডটকমের দায়িত্ব অনেক।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, ‘আজকের ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অভাব রয়েছে। এমনি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ টাইমলাইন ডটকমের যাত্রা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

বাংলাদেশ টাইমলাইন ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক মামুন বিন আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফারুক হোসাইনের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহুল্লাহ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক শাহনাজ পলি, বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেডআই/

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ