প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২, ০৮:৩৫ পিএম
নির্যাতিত দল হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে নিতে চাই বলে
জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি
বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে
নামাতে আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। এই ঐক্যে একটা নির্যাতিত দল হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে
রাখতে পারি। কিন্তু তাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়া যাবে না।’
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি
আন্দোলন আয়োজিত ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায়
এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,
‘আমরা
গত ৩৪ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকেই ক্ষমতায় দেখেছি। আমরা দুই দলেরই চরিত্র
দেখেছি। তাদের চরিত্র একই। এই দুই দল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কিছুই হবে না। এ জন্য
তৃতীয় কোনো শক্তিকে আমাদের ক্ষমতায় নিতে হবে।’
নুর বলেন,
‘বিএনপিও
৯৬ সালে এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জনগণের দাবির প্রতি সম্মান
দেখিয়েছে। তাদের খারাপ মতলব ছিল তা বলা যায় না। তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের যিনি ক্ষমতায় আছেন, যিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, যাকে মানুষ সম্মান দেয়, তিনি যেভাবে জনগণ ও
বিরোধী দলের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন,
তাতে
আমরা লজ্জিত।’
নুর আরও বলেন, ‘যদি দেশে সংবিধান থাকতো, তাহলে ভোলায় একটি
দলের নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের সমাবেশে এভাবে গুলি করে হত্যা করতে পারতো না।
মুস্তাককে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে। পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। আগস্টের পোস্টারে
সারাদেশ ছেয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তারা বলছে ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো।’
আমরা
তাতে সমবেদনা জানাই। কিন্তু এই আগস্ট মাসের শুরুতেই যে তারা নিজেরাই অন্য একটা
দলের কর্মীকে হত্যা করলো!’
বিএনপির ভুল আছে মন্তব্য করে নুর বলেন, ‘তাদের সিদ্ধান্তে ভুল আছে আমরা মানলাম। তাই বলে তাদের গুলি
করে হত্যা করতে হবে এটা সমর্থন করা যাবে না।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, ‘আপনারা এখনই সিদ্ধান্ত নিন। সময় আছে। যদি সিদ্ধান্ত নিতে
ভুল করেন, তবে আপনারা খেসারত দেবেন। যে খেসারত
জনগণ গত ১৩ বছর ধরে দিচ্ছে। আপনারা এই যে ঋণগুলো নিচ্ছেন, এগুলো পরিশোধ কে করবে?
আমরা
চাই না আপনাদের পালানোর রাস্তা না থাকুক। আমরা চাই ভালো করেই নিরাপদে ক্ষমতা
ছাড়ুন।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের
সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের
আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের
রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
এআরআই/এএল