• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বর্তমান সরকারের দুঃশাসন একাত্তরের চেয়েও খারাপ: ফখরুল

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম

বর্তমান সরকারের দুঃশাসন একাত্তরের চেয়েও খারাপ: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের পরিস্থিতিকে ৭১ সালের পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, '৭১ এ পাকিস্তানিরা ঘোষণা দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করত। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ ঘোষণা ছাড়াই জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা মানুষকে নিপীড়ন করছে।'

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় যাদু মিয়ার স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া তার দল ন্যাপ-ভাসানী বিলুপ্ত করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। পরে দেশের আর্থ-সামাজিক, ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সেই থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত রচিত হয়। আজ যার সুফল ভোগ করছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ। আজকের এই মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে যাদু মিয়ার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে না পারলে দেশ আরও সংকটে পড়বে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান টার্গেট হলো এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরানো। এরপর একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তা না হলে ক্ষমতাসীনদের দুর্বৃত্তায়ন থামবে না। সে লক্ষ্যে আমরা বিভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে একই প্ল্যাটফর্মে আসার, তথা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিগত ১৪-১৫ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। সেটা হলো, যারা এই দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতাসীন তারা দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা ভিন্নমতের মানুষদের দলন করছে। মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। লেখার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তার কারণ হলো, জনগণের কাছে এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আজকে প্রতিনিয়ত মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে। এখন নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণহীন। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং তারা মিথ্যা তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে। প্রবাসে যারা রয়েছেন তাদেরও সোচ্চার হয়ে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার আগে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এখন তারা ফের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যা আরও ভয়াবহ এবং মারাত্মক। এই নীতিমালার ফলে তারা আমাদের কথা বলা বন্ধ করতে চায়। সুতরাং ভার্চুয়াল সভা বা কথা বলাও তারা বন্ধ করতে চাইছে।

আমেরিকার স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের শিক্ষক মোহাম্মদ ইমরান আনসারীর পরিচালনায় সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, কানাডার ডউসন কলেজের শিক্ষক ড. আবিদ বাহার, শিক্ষাবিদ ড. তাজ হাসমী, মরহুম যাদু মিয়ার কন্যা রিটা রহমান প্রমুখ।

এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক প্রমুখ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

ডিআইএ/এফএ

আর্কাইভ