• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এই সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই: ফখরুল

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২২, ১১:০৮ পিএম

এই সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সব সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা।’

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বেলা পৌনে একটার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এ সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কারণ, সব সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশে যত চাঁদাবাজি, ঘুষ খাওয়াসবকিছুর মূলে এই আওয়ামী লীগ।'

করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে’—প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি কিছু বক্তৃতা দেন। তার মধ্যে একটি জায়গায় বলেছেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থেকে শুরু হলো, আর কবে থেকে এ দেশের মানুষ চিৎকার করছে, তেল-চাল-ডালের দাম কমাও।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারা দেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ মুখোশ পরে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের ট্রাকের পেছনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ায়। সেই লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। ধাক্কাধাক্কি করে কোনো রকমে এক লিটার তেল, কিছু চাল-ডাল আর আলুর জন্য। বাণিজ্যমন্ত্রী যেদিন জিনিসপত্রের দাম কমাতে বললেন সেদিনই পেঁয়াজের কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেল।‘

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষ সহ্য করতে করতে অনেক সহ্য করতে শিখে গেছে। কলকাতায় ট্রামের ভাড়া ৪ পয়সা বাড়লে কলকাতা বন্ধ হয়ে যায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে কলকাতা বন্ধ হয়ে যায়। আর এরা ১৪ বছর ধরে মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছে কিন্তু আমরা এখনও সেভাবে বন্ধ করতে পারছি না। আমাদের বন্ধ করতে হবে। এরা যে অন্যায়, নির্যাতন-নিপীড়ন করছে তাকে বন্ধ করতে হলে, মানুষকে বাঁচাতে হলে, দুর্ভিক্ষ যেন না হয় তার ব্যবস্থা করতে হলে এ সরকারকে হঠানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন আমরা সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এ ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে আর সরকার নির্বিকার রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন। করোনার কারণে শিল্পকারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন কোনো শিল্পকারখানা নেই।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, সরকারি দলের লোকদের বলব, ভালো হয়ে যান। ভোটাধিকার ফেরত দিন। দেশে যদি এত উন্নয়ন করেন, তাহলে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে ভয় পান কেন?

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন।

 

ডিআইএ/ডা

 

 

আর্কাইভ