সিটি নিউজ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের প্রথম নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন আলী আহম্মদ চুনকা। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি। প্রয়াত এ নেতার কর্মী হয়ে রাজনীতিতে আসেন তৈমূর আলম খন্দকার। কিন্তু একটা সময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তৈমূর আলম। শুধু সক্রিয়ই নয়, এবারের নির্বাচনে সেই চুনকার কন্যা সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গেই লড়ছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
এবারই প্রথম না, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে মেয়র পদে দাঁড়ান তৈমূর। ভোটের ৮ ঘণ্টা আগে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। সেই নির্বাচনেও ছিলেন, সেলিনা হায়াত আইভী।
বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে বিআরটিসি চেয়ারম্যান করা হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। সিএনজিচালিত ফোর স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করে মামলা ও পরে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত এ মামলায় দায়মুক্তি পান তিনি।
জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময়ও প্রতিবন্ধীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তৈমূরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাকে দুদকের বারান্দায় হাজির হতে হয়। আর ২০২০ সালে সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তৈমূর আলম খন্দকার।
২০১১ সালের পর আবার সিটি নির্বাচনের মাঠে তৈমূর আলম খন্দকার। এবারও তার শক্ত প্রতিপক্ষ সবশেষ মেয়রের দায়িত্বে থাকা সেলিনা হায়াত আইভী। নির্বাচনের প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখন হঠাৎ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ এবং জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তবে এতে অখুশি হননি তৈমূর।
২০১১ সালে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলেন আর এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দলীয় পদ হারালেন। এ অবস্থায় আইভীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে কতদূর যাবেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জের নাগরিকরা।
এমএএন/ডা
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন