প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ১২:৫৬ এএম
বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘হবিগঞ্জে
শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণ বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত
ও ন্যক্কারজনক। বন্দুকের জোরে ক্ষমতাসীনেরা অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এই
হামলা চালিয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশের অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) ৬টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হবিগঞ্জে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পুলিশকে অবহিতপত্র দেয়ার পর দুপুর ১২টায় শায়েস্তানগর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পরপরই পুলিশ বিনা উসকানিতে সমাবেশে হামলা চালায় এবং প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, দুপুর ১২টার দিকে সভা শুরুর পরপরই পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। এতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রিঙ্গন, যুবদল জেলা সাধারণ সম্পাদক জালাল, ছাত্রদল জেলা সদস্য সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ, ছাত্রদল জেলা সদস্য আরশাদ, জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর রহমান সিতু, ছাত্রদল জেলা যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আহাদ তুষার, মৎস্যজীবী দল নেতা মোবারক হোসেন, শিপন আহমেদ, শাহজাহান ও জাহির আলীসহ তিন শতাধিক বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে রিঙ্গনসহ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রিজভী আরও বলেন, ‘আজ হবিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণ বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক। বন্দুকের জোরে ক্ষমতাসীনেরা অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এই হামলা চালিয়েছে। আমি পুলিশি এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুবদলের সভাপতি কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
জেডআই/এম. জামান