প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২১, ১১:৪৭ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতা দখল করতে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের আশ্রয় নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক তথ্যে তিনি এ কথা বলেন। দলটির
দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিবৃতির
বিষয়ে জানানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ জানেন, ৩০ লাখ শহীদের
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পবিত্র সংবিধানকে হত্যা করেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বিএনপি
কখনও নির্বাচন, সংবিধান ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি
বিশ্বাস করে না। অতীতের মতো তারা চায় হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে
ক্ষমতা দখল করতে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের
সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে
চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক
অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান
করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ “সাদেক আলী-আজিজ মার্কা”
নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা
ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ
ঘৃণাভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ
ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।’
২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক
প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে
সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির
স্থাপিত হয়। বিএনপি কখনও সংবিধান,
গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না।’
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে
দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, ‘একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক
রীতিনীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে বিএনপি।’ নির্বাচন কমিশন গঠনের
লক্ষ্যে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে
রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সংবিধান সম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহ সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা রাখবে।’
অর্ণব/ডা