প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২১, ০৭:৩১ পিএম
জনবল না থাকায়
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে
করোনা টেস্ট। তবে কেবল রামেকের
আরটিপিসিআর ল্যাবে এখন পরীক্ষার কাজ
চলছে।
রামেক
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ল্যাব পরিচালনায় দায়িত্ব দিয়ে বিভাগীয় ফরেনসিক
ডিএনএ ল্যাবরেটরি থেকে এসএম হাসান
এ লতিফ ও হামিদ
আহমেদকে আনা হয়েছিল। গত
বছরের মার্চে সরকারি নির্দেশে তারা হাসপাতাল ল্যাবে
যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে আড়াই হাজার করোনা
কিটস গায়েবের অভিযোগ ওঠে। তারা ১৭
ডিসেম্বর নিজেদের কর্মস্থল বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন।
রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, রাজশাহীতে এখন তেমন করোনার
প্রকোপ নেই। হাসপাতালের ল্যাবটি
সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও রাজশাহী
মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবটি
চালু রয়েছে। নমুনার সংখ্যাও কমে এসেছে, তাই
দুটি ল্যাব পরিচালনার দরকারও নেই এই সময়ে।
বিষয়টি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীসহ কারও করোনা পরীক্ষার
প্রয়োজন হলে কলেজ ল্যাবেই
হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, দেশে
করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে পরীক্ষা বাড়ানোর
জন্য ২০২০ সালের ১৮
মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাবটি চালু করা হয়।
তারও আগে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজের একটি ল্যাবে করোনা
পরীক্ষা হচ্ছিল। রাজশাহী অঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেশি হলে হাসপাতাল
ও কলেজ দুটি ল্যাবে
দুই শিফট করে করোনা
পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতাল
ল্যাব পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
নির্দেশে বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের ওই দুই কর্মকর্তা
হাসপাতাল ল্যাবে আসেন।
তবে
১২ ডিসেম্বর হাসপাতাল ল্যাবের দুই কর্মকর্তা এসএম
হাসান এ লতিফ ও
হামিদ আহমেদ আরটি-পিসিআর ল্যাবে
আর কাজ করবেন না
মর্মে আবেদন করে অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
তবে তাদের কিছু জানানোর আগেই
১৭ ডিসেম্বর তারা তাদের আগের
কর্মস্থল বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে যোগ দেন।
কর্তৃপক্ষের
অনুমতি ছাড়াই করোনা ল্যাব ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে এসএম সংশ্লিষ্ট দুই
কর্মকর্তার কেউই কথা বলতে
রাজি হননি।
নূর/ডা