প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৯:৫০ পিএম
দেশ স্বাধীন করতে আমাদের
একটা যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। আজ আমাদের সে স্বাধীনতা
রক্তাক্ত আর গণতন্ত্র নির্বাসিত। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ডিআরইউ’র
সাগর রুনী মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র
রায় এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই প্রতিবাদ সভায় আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার পথে শেখ হাসিনাই একমাত্র বাধা। তাই শেখ হাসিনার পতনের পরই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা তো জোর করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পারব না। তবে জোর করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারব। তাই বিএনপি এখন এ পথেই এগুবে। খালেদা জিয়াকে তো বিচারের জন্য আদালতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের বেলায় আদালত পর্যন্ত পাঠানো হবে নাকি জনগণই বিচার করে ফেলে তা বলা যায় না।’
অশ্লীল মন্তব্যকারী হিসেবে সদ্য পদ হারানো তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অশালীনতা আর অসভ্যতায় মুরাদ শেখ হাসিনার তুলনায় শিশু। শেখ হাসিনার ইশারাতেই সে এসব কথা বলেছে। এখন এজন্যই তিনি তাকে নিরাপদে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।’
বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশ কারও কোনো ভাষণে স্বাধীন হয়নি। দেশ স্বাধীন করতে আমাদের একটা যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। আর তার ঘোষণায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যুদ্ধে এসেছিল। কিন্তু আজ আমাদের সে স্বাধীনতা রক্তাক্ত আর গণতন্ত্র নির্বাসিত।’
বর্তমানে দেশে আইনের শাসন না থাকলেও একজন ব্যক্তির শাসন আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর, তিনি বলেন, ‘এখন বিচার বিভাগও শেখ হাসিনার কথায় চলে। বাংলাদেশে খুন গুম যা হচ্ছে সব শেখ হাসিনার জানা। মুদ্রাপাচার যারা করে তারাও শেখ হাসিনার জানা শোনা এবং আশপাশের লোক।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেডআই/ডা.