• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস করা হোক : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১, ০৯:৪২ পিএম

শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস করা হোক : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের ব্যবস্থা করা হোক। এই সমাবেশ থেকে ছাত্রছাত্রীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।’

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ে। তারা বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আজ রাস্তায় নেমেছে। তাদের হাফ পাস দিতে হবে। কেন বলছে? কারণ তাদের লেখাপড়া করতে খরচ অনেক বেশি। তাদের মা-বাবারা যারা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত তারা সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। একদিকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, শিক্ষার খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে বাসের ভাড়া অনেকগুণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে একটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই গণবিরোধী সরকার প্রথমে ডিজেল আর তেলের দাম বাড়াল। সঙ্গে সঙ্গে বাস মালিক-শ্রমিকদের বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে স্ট্রাইকে নামিয়ে দিলো। মনে আছে তো আপনাদের? তারা তাদের আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেট ভারী করার জন্য কৌশলে জনগণের পকেট কাটছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ বাসের ভাড়া কমানোর দাবিতে স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করছে। সরকার বলছে, বিআরটিসি বাসের ভাড়া তো কমালাম কিন্তু প্রাইভেট বাসের ভাড়া তো আমরা কমাতে পারব না। আমি বলি, তোমরা প্রাইভেট মোবাইল, টেলিফোন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারো আর বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারো না? তোমরা শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া কমিয়ে দাও। সেখানে যদি ২/৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় তা তোমরা দিবে না কেন? আগামী প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষার জন্য, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আজকের সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের দাবিতে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু বিএনপির জন্য দরকার নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য তাকে দরকার। তিনি একমাত্র নেত্রী, যিনি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার বলছি, তাকে বিদেশে পাঠান চিকিৎসার জন্যে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়, যুবদল নয়, ছাত্রদল নয়, অঙ্গসংগঠন নয়, বিএনপি নয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ কারাগারে বাস করছে। দেশে শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, মানুষ হাসিমুখে কথা বলে না। নিরাপদে রাস্তায় বের হতে পারে না। তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারে না। ভয়াল একটি অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বাস করছে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ। প্রতিদিন চিকিৎসকেরা তার জীবন রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না কেন? তার একটি কারণ। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষের জন্য কথা বলেছেন। তিনি যখন বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন তখন ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, আসাদুজ্জামান নেসার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, আজহারুল হক মুকুল, এবিএম পারভেজ রেজা, লিটন মাহমুদ, শাহাবুদ্দিন মুন্না, ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, কাদের হালিমী, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল আলম, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, মোস্তাফিজুর রহমান মনির, আরিফুর রহমান আরিফ, আজগর হায়াত লিমন, মোখলেছুর রহমান, তকদির হোসেন স্বপন, আশ্রাফ উদ্দিন রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ