প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম
খালেদা
জিয়ার চিকিৎসায় যে ধরনের টেকনোলজি প্রয়োজন সেটি বাংলাদেশে নেই। তাই তাকে একটা অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিপাকতন্ত্রের ঠিক কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে— এটা বের করার জন্য আমাদের ডাক্তাররা, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগোতে পারছেন না। কারণ সে ধরনের টেকনোলজি বাংলাদেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে তারা সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারেন। এ কারণে তারা বারবার বলছেন— তাকে একটা অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নেয়া দরকার, যেখানে চিকিৎসার ওই ডিভাইসগুলো আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার অনেক অসুখ। কিন্তু এখন যেটা তার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে, সেই পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার দীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য, একদলীয় শাসনব্যবস্থা তৈরির কাজ করছে। এটা শুরু হয়েছে ১/১১ থেকে এবং তারই পরিণতি হিসেবে আজকে বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।’
গণতন্ত্র আর খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার চিকিৎসা, তার বেঁচে থাকা এই জাতির কাছে অত্যন্ত জরুরি। আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ স্বৈরাচার আর ফ্যাসিবাদ এক নয়। এই ফ্যাসিবাদ আমাদের গণতন্ত্রের সব অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আজকে আসুন গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পাঠানোর জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’
ফজলুল হক মিলনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ নব্বইয়ের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।
জেডআই/এম. জামান