প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:২৯ এএম
আওয়ামী
লীগ থেকে আজীবনের জন্য
বহিষ্কার করা হয়েছে গাজীপুর
সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে
বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা
হয়। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
শুক্রবার
(১৯ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে
সভাপতিত্ব করেন।
দল
থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি
বলে দাবি করেছেন মেয়র
জাহাঙ্গীর আলম।
শুক্রবার
(১৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি
বলেন, ’আগে আমার পার্টি
থেকে বিষয়টি জানাক, তারপর মন্তব্য করব।’
বহিষ্কারের
বিষয়ে কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
গত
সেপ্টেম্বর মাসে মেয়র জাহাঙ্গীর
আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি গোপনে
ধারণ করা হয়। কথোপকথনে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত
মন্তব্য করেন তিনি।
তীব্র
সমালোচনার মুখে পড়ে এক
ভিডিওবার্তায় মেয়র জাহাঙ্গীর দাবি
করেন, ফেসবুকের ভিডিওটি সুপার এডিট করে প্রচার
করে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়
করা হচ্ছে।
এ
ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের
নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর
আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের
দাবি জানান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গাজীপুরের
রাজনীতি। এ নিয়ে গাজীপুরে
বিরোধীদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ
হয় মেয়র সমর্থকদের।
গত
৩ অক্টোবর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে
এ ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ
দেয় আওয়ামী লীগ। ১৮ অক্টোবরের
মধ্যে তাকে এর জবাব
দিতে বলা হয়। নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে জবাব দিয়ে নিজেকে
নির্দোষ দাবি করেন জাহাঙ্গীর
আলম।
ইফাত/ডাকুয়া