প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১, ০৮:২৭ পিএম
আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব
সেই পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন আর বলছেন বিচার ব্যবস্থা নাকি দলীয়করণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন। শুধু রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন। যা মোটেই শোভন নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিভিন্নস্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছেন, এটা দুঃখজনক।
সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা বিরাজ করছে তা ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছ, আচরণবিধি আছে, সকলের এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক।
এ বিষয়ে সকলকে বক্তব্য দেওয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিমণ্ডল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের কারও কারও অতি-উৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুলবার্তা যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছে। চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনও বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব সেই পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন আর বলছেন বিচারব্যবস্থা নাকি দলীয়করণ করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের সমালোচনার এসব পুরনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর বিপক্ষে গেলে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা তাদের পুরোনো অভ্যাস। বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারত, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।
জেডআই/ডাকুয়া