প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র পথ হচ্ছে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, এটা না যে, এমনি হয়ে যাচ্ছে, তা না। তারা পরিকল্পনা করেছে যে, বাংলাদেশকে তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করবে। একটা নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করবে। অন্যের ওপর নির্ভরশীল একটা রাষ্ট্রে পরিণত করবে। সেই কাজ তারা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার যে উন্নয়নের এত কথা বলে, উন্নয়ন-মেগা প্রজেক্ট, সব কিছুর মূলে হচ্ছে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলা। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা হাঁটু ভেঙে দেয়া জাতিতে পরিণত করা। সেজন্য আজকে চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখেন, দুর্নীতি-চুরি ছাড়া আর কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ আসার সময় পথে দেখলাম বাস চলছে না, মানুষ হাঁটছে, মোটরসাইকেল চলছে। কারণটা কি আপনারা সবাই জানেন। ডিজেল-কেরোসিন এলপিজির দাম হঠাৎ করে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ যাবে কোথায়? একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে-অন্যদিকে এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিলো। ফলে কি হবে? জিনিসপত্রের দাম আরও দ্বিগুণ বাড়বে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? তাদের তো এখন না খেয়ে অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুবরণ করার অবস্থা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র পথ হচ্ছে এদের সরিয়ে দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা সবাই রাজপথে নেমে আসি এবং আমাদের শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার, জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠা করি।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারকে হঠাতে না পারলে নেত্রীকে মুক্ত করা যাবে না। সরকার হঠাতে না পারলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপির নেতৃত্বে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো স্বৈরাচার ক্ষমতা ছাড়ে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষকদলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাবি ছাত্রদল আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী নার্গিস ইসলাম।
জেডআই/ডাকুয়া