প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১, ১১:১১ পিএম
বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা অবশ্যই
নির্বাচন চাই, তবে সে নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের
অধীনে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব
কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, শরীয়তপুরের এমপি বলছেন- আমি ঠিক করে দেব কে চেয়ারম্যান হবে আর কে মেম্বার হবে। অন্য কেউ দাঁড়াতে পারবে না। আমরা চিন্তাই করতে পারি না। ১৯৭১ সালে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলাম, সেই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে তারা এখন একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এরা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। কারও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। সহনশীলতা বলতে তাদের কিচ্ছু নাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আওয়ামী লীগ যে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে.. সেটার প্রতিবাদে আমরা একটা একটা আলোচনা সভা করেছিলাম আমাদের অফিসের সামনে। তারপর সভার শেষে আমাদের ছেলেরা যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন তাদের পেছন থেকে আক্রমণ করে, টিয়ার শেল মেরে, গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশের বেশি মানুষকে। উল্টো তারা আবার মামলা দিয়েছে ১৬শ মানুষের বিরুদ্ধে। এত ভয় পায় কেন। ভয় পায় এই জন্যে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ যেদিন বের হবে রাজপথে সেদিন আপনারা পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা এদেশের সন্তান, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আপনারা দুর্নীতিপরায়ণ ও নির্যাতনকারী। রাষ্ট্রের একটা দলের সঙ্গে মিশে আপনারা জনগণের ওপর এভাবে নির্যাতন করবেন না। আর এই সরকার আজ রাষ্ট্রের-জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের পকেট কেটে আওয়ামী লীগ নিজেদের পকেট ভারী করছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সংগঠিত হন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন একটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, তবে সে নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
জেডআই/ডাকুয়া