প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১, ০২:৪৩ এএম
বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রংপুরের
পীরগঞ্জের হামলা এবং দেশের অন্য জেলা কুমিল্লা, চট্টগ্রাম,
চাঁদপুর,
নোয়াখালীতে
হামলা একই সূত্রে গাঁথা।’
মঙ্গলবার (১৯
অক্টোবর) সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার করিমগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকা পরিদর্শনে এসে
সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশ মুসলমান,
হিন্দু,
বৌদ্ধ,
খ্রিস্টান
সবার দেশ। দেশের স্বাধীনতার রচনাকে নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে তারাই এই হামলার সঙ্গে
জড়িত। তাদের সকলের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। হামলার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায়
আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন,
‘যারা
এ দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, সম্প্রীতি
বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। সারা দেশে আজ আওয়ামী লীগে বিক্ষোভ
করেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কিন্তু আরও ঘটানোর পরিকল্পনা আছে। তবে তাদের এই
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
ঘটনাস্থল
পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পীরগঞ্জে মাঝিপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে নগদ ৫ হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় আরও
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক,
কেন্দ্রীয়
আওয়ামী লীগের সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,
মহানগর
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এবং
সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুরে
পীরগঞ্জ উপজেলার করিমগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকা পরিদর্শনে আসেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনু, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও পীরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী এমপি এবং বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সনজিৎ
কুমার ভাট্টি। তারা মাঝিপাড়ার এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সকলকেই আইনের আওতায়
আনার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত রোববার
(১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর একটি পোস্টের জেরে
পীরগঞ্জের ১৩ নম্বর রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া-বটতলা ও বড়করিমপুর গ্রামে
হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ২৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও
বাড়িতে লুট করে গরু-বাছুর নিয়ে গেছে।
এস/এম. জামান