প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ০৬:৪৭ পিএম
নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা)
মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শনিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে জাতীয়
পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে প্রয়াত মহাসচিবের মরদেহ আনা হয়।
সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাবলুর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীদের চোখের জলে ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হয়। অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
শেষবারের মতো দেখতে এসে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৮০-এর দশকে তিনি ডাকসুর সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে তিনি সত্য কথা বলেছেন। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিলেন। বাবলুর মতো দক্ষ নেতাকে হারিয়ে জাতীয় পার্টিতে শূন্যতা সৃষ্টি হলো।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শেষবারের মতো দেখতে আসেন তাদের প্রিয় নেতাকে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত স্পষ্টবাদী ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি করেছেন। মহাজোট গঠনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দলের জন্যই কাজ করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি চিরদিনের মতো আমাদের কাছ থেকে চলে গেলেন এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
এ দিকে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নামাজে জানাজা বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রয়াত মহাসচিব স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে দলটি। শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
শনিবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সকাল ৯টা ১২ মিনিটে রাজধানী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী এবং রাজনৈতিক অনুসারী রেখে গেছেন।
জেডআই/এম. জামান