
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম
মহামারির
ধকল সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই সময়টাতেই আগের ধারণা আর অনুমানগুলো নতুন
করে যাচাই করে দেখতে নীতিনির্ধারকদের কাছে পরামর্শ রেখেছেন বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
তার ভাষায়- আমরা যা জেনেছি তা কতটা সঠিক, সেটি যাচাই করার এখনই সময়।
ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন ‘হোয়াইট বোর্ড’-এর পঞ্চম সংখ্যায় ‘ইটস টাইম টু চ্যালেঞ্জ হোয়াট উই নো’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে এ পরামর্শ রেখেছেন আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান। তিনিই সিআরআই প্রকাশিত এ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক।
শুক্রবার প্রকাশিত ‘হোয়াইট বোর্ড’-এর পঞ্চম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের গল্পটা যথেষ্টই জটিল। এ গল্পে বহু স্তর, চরিত্ররাও বৈচিত্র্যে ভরপুর। এ গল্পের বিকাশ যেভাবে এগিয়েছে, সেটাও চমকপ্রদ। সবগুলো অংশ মিলিয়ে সমন্বিতভাবেই উন্নয়নের এ গল্প অনুধাবন করতে হবে, যদিও স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য সবগুলো খাত সব সময় সেভাবে শিরোনামে আসে না।
তিনি লিখেন- বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ যেহেতু ঘুরে দাঁড়ানোর পর্যায়ে রয়েছে, আগের ধারণা আর অনুমানগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার নীতিনির্ধারকদের। কোন বিষয়গুলো আর কারা বাংলাদেশকে স্পন্দিত করে, সেদিকে আরও বিশদ নজর দেওয়া দরকার।
হোয়াইট বোর্ডে পঞ্চম সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে এসেছে বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পরও কৃষির গুরুত্ব কেন কমেনি, এই লেখায় তা তুলে ধরেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
আসিফ মুনীর লিখেছেন সেসব দালালের গল্প, যারা জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়। তাদের ‘এজেন্ট’ হিসেবে বিবেচনা করে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি কতটা যৌক্তিক হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছেন তিনি।
আশা সেন, বজলুর রহমান ও আশিস চন্দ্র বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে লিখেছেন, কমিউনিটি রেডিও কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।
মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সামনে নতুন সম্ভাবনার সঙ্গে নতুন চ্যালেঞ্জও আসছে। আর সে জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত মারিয়া তাহসিন তা বিশ্লেষণ করেছেন।
এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে মানবাধিকারের সম্পর্ক, চাকরি খোঁজার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোও এসেছে আলাদা নিবন্ধে। হোটাইট বোর্ডের সাম্প্রতিক সংখ্যাটি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
তিনি লিখেছেন, বিশ্বব্যাপী এই মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটি দেশের নেতৃত্বকে দ্রুত পরিস্থিতি বুঝে নিতে পারঙ্গম হতে হয়। পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, বিশদ বিশ্লেষণ এবং সঠিক ও বিস্তারিত তথ্যও জরুরি।
এর আগে গত জুনে প্রকাশিত চতুর্থ সংখ্যায় মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতির গল্পে ‘বাংলাদেশ মিরাকল’-এর বদলে ‘বাংলাদেশ মডেল’-এ মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিক ‘হোয়াইট বোর্ড’-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করে সিআরআই, যা সাজানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নীতি ও কৌশলগুলো নিয়ে। আর ডিসেম্বরে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল মহামারিকালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নীতিনির্ধারণী বার্তা।
মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যতে আর এগিয়ে যাওয়ার নীতিনির্ধারণী বার্তা নিয়ে তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকসের গ্র্যাজুয়েট রাদওয়ান মুজিব দেশের তরুণদের জন্য বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীকে ভিত্তি করে গ্রাফিক নভেল মুজিব প্রকাশ করে আসছে সিআরআই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার ব্যক্তিজীবনের অজানা-অদেখা গল্প নিয়ে সিআরআই-এর ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'হাসিনা : আ ডটারস টেল' প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের তরুণদের জন্য ‘জয় বাংলা’ কনসার্ট আয়োজনের পেছনেও রাদওয়ান মুজিব রয়েছেন।
জেডআই/এম. জামান