প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৯:৪০ পিএম
একটা ছোট্ট মানুষ যার পৃথিবীটাই দেখা হয়নি। বাবা-মা ছাড়া অন্যদের তেমন চিনে না। মুখে ভাঙা উচ্চারণ। হাঁটতে গেলে বাবা নয়তো অন্য কারো আঙ্গুল ধরতে হয়। সহযোগী ছাড়া চলার পথ জানা হয়নি এমন একটি অবুঝ শিশুকে হায়েনারা গুলি করে হত্যা করে। এটা ছিল একটা ঈর্ষার কারণ। মানুষ যখন অমানুষ হয় তখন পশুত্বে পরিণত হয় -শেখ রাসেল হত্যা তারই একটা অংশ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের গুলিতে রাসেল নিহত হন। ১৯৬৪ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে তার জন্ম। ওই সময় রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হবার পর তাকে চির শায়িত করা হয় বনানী কবরস্থানে। তার সঙ্গে সেখানে চির শায়িত হয়েছেন ১৫ আগস্টে নিহত পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
আজ তার ৫৯তম জন্মদিন। আজ সে বেঁচে থাকলে তার অন্যরকম জন্মদিন পালিত হতো। ঘাতকদের হিংসা-বিদ্বেষ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, এটা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ।
আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছি, মহান আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
পরিশেষে, আজ রাসেল নেই কিন্তু হাজারো রাসেল আছে। আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের পথে চলমান। এই বোধ এবং প্রতিজ্ঞা নিয়ে বলবো, আর যেন রাসেলের মতো শিশুরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। আর যেন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, এটাই হোক আজ থেকে রাসেলের জন্মদিনে সবার অঙ্গীকার।
রাসেলের রক্ত যেন বৃথা না যায়। শেষে বলি, রাসেল তুমি আছো, কোটি মানুষের হৃদয়ে। তুমি আছো দেশকে এগিয়ে নেবার পথে। তুমি আছো শপথ-অঙ্গিকারে। তুমি মৃত নও-- থাকবে, আমাদের অহংকারে। তোমার শিশুরক্তে জন্ম নেবে নতুন বাংলাদেশ। প্রতিক্ষণ তোমাতে দেখবো, "রাত্রি কোথা সহস্র প্রদীপ হাতে তুমি" দাঁড়িয়ে আছো বাংলাদেশে একজন রাসেল হয়ে।