প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১, ০৭:৫৭ পিএম
দশ
বছরের অধিক সময় ধরে
দেশে অনিবন্ধিত ছোট নৌযানের নিবন্ধন
না হওয়ায় জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। ২০১০ সালের শুরুতে
এ বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা
কারণে তা বাস্তবায়ন করা
যায়নি বলে নৌপরিবহন অধিদফতর
সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়, দেশে মাওয়া, আরিচা,
বরিশাল, নরসিংদী এবং হাওরাঞ্চলে আটশ’র অধিক স্পিডবোট চলাচল
করে। এগুলোর মধ্যে শুধু ৩৪০টির নিবন্ধন
করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০টির
ছিল রুট পারমিট।
স্পিডবোট
নিবন্ধন ও দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সিটি নিউজকে জানান,
আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট নিবন্ধনের
আওতায় আনার কাজ করছি।
তবে গত মার্চ থেকে
চলমান অতিমারির মধ্যে বারবার তারিখ দেয়া হলেও তা
পেছাতে হয়েছে। তারপরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে
স্পিডবোট মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা
নিবন্ধনে আগ্রহী।
দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত
স্পিডবোটটি কোথা থেকে এত
যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল তা
নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এতে
কোনো কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে কি না
তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী
যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নৌপরিবহন
অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সিটি নিউজকে বলেন,
অনেক আগে থেকে নিবন্ধন
প্রক্রিয়া শুরু হলেও মালিকদের
আগ্রহ কম। তার সঙ্গে
যুক্ত হয়েছে করোনা।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সিটি
নিউজকে জানান, যখন কোনো জায়গায়
কোনো কিছু চলাচলের জন্য
অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
সেখানে বৈধ আর অবৈধের
হিসাব থাকে না। সবই
বৈধতা পায়। কারণ হলো-
মাওয়া স্পিডবোট থেকে যাত্রী ওঠা
ও নামানোর জন্য পন্টুন দেয়া
হয়েছে। বার্দিং ও কঞ্জারভেন্সিসহ ইজারা
দেয়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬০
লাখ টাকা। আর অপরপ্রান্তরে ইলিয়াস
আহম্মেদ চৌধুরীর স্পিডবোট ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে ২৬
লাখ টাকায়। এ কারণেই ইজারার
টাকা তুলতে সব বৈধ করা
হচ্ছে।
নৌপরিবহন
অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রতিটি স্পিডবোটের ধারণক্ষমতা দেয়া আছে ১২
জন, কিন্তু পরিবহন করা হচ্ছে ২০-৩০ জন। এগুলো
দেখার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের
সামনেই চলে অনিয়ম।
তরিকুল/নূর/এম. জামান