প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১, ০৫:২২ পিএম
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে
স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় তিনটি
ওষুধের আন্তর্জাতিক ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা চিকিৎসায়
ব্যবহারের জন্য এ ওষুধ
তিনটি হলো- আর্টিসুনেট, ইমাটিনিব
ও ইনফ্লিক্সিম্যাব।
বৃহস্পতিবার
(১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও
এই তথ্য জানিয়েছে। তারা
জানায়, বিশ্বের ৫২ দেশের ৬০০
হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা
এই ট্রায়ালে অংশ নেবেন।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অপরিহার্য’ ওষুধের তালিকাভুক্ত আর্টিসুনেট প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৭ সালে।
চীনা রসায়নবিদ লিউ জু এ
ওষুধটির আবিষ্কারক এবং বর্তমানে এ
ওষুধটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে ভারতের মহারাষ্ট্র-ভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি ইপকা।
গুরুতর অসুস্থ ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় টিকা ও ট্যাবলেট
উভয় আকারেই বিশ্বজুড়ে এ ওষুধটি ব্যবহার
করছেন চিকিৎসকেরা।
সাধারণভাবে
ব্লাড ক্যান্সার নামে পরিচিত রোগ
লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসা ইমাটিনিব
প্রথম বাজারে আসে ২০০০ সালে।
বেলজিয়ামের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি
নোভারটিস এ ওষুধটির প্রস্তুতকারী
প্রতিষ্ঠান এবং এটিও বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অপরিহার্য’ ওষুধের তালিকাভুক্ত।
করোনা
চিকিৎসায় বৈশ্বিক ট্রায়ালের তালিকায় থাকা তৃতীয় ওষুধ
ইনফ্লিক্সিম্যাব আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগে
আক্রান্ত রোগীদের জন্য কার্যকর। চিকিৎসাগত
প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১৯৯৮ সালে
যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯৯৯ সালে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন পেয়েছে ওষুধটি। ওষুধ ও টিকা
প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন
এ ওষুধটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
বিবৃতিতে
এ সম্পর্কে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে,
বিশ্বজুড়ে জটিল হয়ে উঠছে
করোনা পরিস্থিতি। মহামারিকে নির্মূল করতে হলে এই
টিকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক ওষুধেরও প্রয়োজন। এ কারণেই এই
ট্রায়াল কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
করোনা
চিকিৎসায় এর আগে তিনটি
ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও। এগুলো হলো ডেক্সোমেথাসন, টোসিলিজুমাব
ও সেরিলামাব।
ট্রায়াল
সফল হলে এ রোগের
চিকিৎসায় ডব্লিউএইচওর অনুমোদিত ওষুধের সংখ্যা ছয়ে পৌঁছবে।
ইফাত/এম. জামান