নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারাদেশে শুরু হচ্ছে ৫ দিনের টিকাদান ক্যাম্পেইন। আগামীকাল ৭ আগস্ট থেকে পরবর্তী পাঁচদিনে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এসব জানান।
তিনি বলেন, 'দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সম্প্রসারিত আকারে আগামীকাল দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট ২৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে যাচ্ছি।'
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, 'এই ক্যাম্পইনের আওতায় সারা দেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে।'
আগামীকাল দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, '৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ ও ৯ আগস্ট ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। ১০ থেকে ১২ অগস্ট জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
টিকা নেয়ার বয়সসীমা ১৮ থেকে কেন আবার ২৫ বছর করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, '১৮ বছর বয়সী অনেকের এনআইডি নেই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, এই এনআইডি ছাড়া ১৮ বছর বয়সীদের টিকার আওতায় আনতে যাই, মাঠে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে সেটাকে আমরা সামাল দিতে পারবো না। সে জন্য অনেক আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বয়সসীমা ২৫ বছর হবে।'
সম্রাট/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন